শনিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১টায় রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টেটাবিদ্ধ মিনারা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রকিবের স্ত্রী।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শৈলেন চাকমা বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠখাল গ্রামের পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির লোকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের কাছুম আলী এবং তার লোকজনের। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকটি মামলাও চলমান। তবে আব্দুস শহীদের নেতৃত্বাধীন পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির পক্ষে ১১টি গোষ্ঠীর লোক থাকায় এলাকায় তাদের আধিপত্য বেশি।
শনিবার সকালে পূর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে শান্ত করে। পরবর্তীতে বিকেলে ১১ গোষ্ঠীর লোকজন এসে কাছুম আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মিনারা খাতুনের বুকের ডানদিকে একটি টেটা বিঁধে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। টেটার আঘাত মিনারার হৃদযন্ত্রে স্পর্শ করায় তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনারাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিনারার স্বজনরা বাংলানিউজকে জানান, তার ৪ ছেলে এবং ২ মেয়ে রয়েছে। তিনি কোন ধরনের বিরোধের সাথে জড়িত ছিলেন না। তারপরও তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ মোবারক বাংলানিউজকে জানান, দুইপক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুই পক্ষের বিরোধে টেটাবিদ্ধ এক নারী
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এমজেএফ