ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় নৌ বাহিনীর ঘাঁটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
ঢাকায় নৌ বাহিনীর ঘাঁটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেতে নৌ বাহিনীর ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ মুজিব’ এর কমিশনিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি ঢাকা অঞ্চলে প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৌ ঘাঁটি।

সোমবার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর খিলক্ষেতে বানৌজা শেখ মুজিব থেকে নৌ ঘাঁটিটির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম অঞ্চলে নৌ বাহিনীর জন্য ২২টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন।  

‘বানৌজা শেখ মুজিব’-ই হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেশের প্রথম কোনো নৌ ঘাঁটি।

এ নৌ ঘাঁটিতে সব ধরনের আধুনিক সু্যোগ-সুবিধা থাকবে।  

বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় উন্নত তথ্য প্রযুক্তি কর্মসূচি, নেভাল ইন্টেলিজেন্স গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং দুর্যোগের সময় হেলিকপ্টারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।  

নৌঘাটি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অত্যন্ত আনন্দিত বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি যাত্রা শুরু করলো। এই ঘাঁটি নিজস্ব অপারেশনের পাশাপাশি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই নৌবাহিনী আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন একটা ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠেছে। আজকে আমরা পূণার্ঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।  

‘নৌবাহনীকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আমাদের ছিল। তাই আমরা সরকার গঠনের পর নৌবাহীনিকে বিভিন্নভাবে শক্তিশালী করেছি এবং আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করেছি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমবার মাত্র ৫ বছর সরকারে ছিলাম। তার মাঝেই যতটুকু করা সম্ভব করেছিলাম। এরপর আবার যখন ২০০৯ সালে সরকারে আসি তখন থেকে এই নৌবাহিনীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করি।

‘আমি আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি যে, সার্বিকভাবে একদিকে যেমন দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন আমরা করে যাচ্ছি। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে মজবুত করছি অপরদিকে আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক এ বাহিনীসমুহকে আরো উন্নতমানের করা যাতে বিশ্বের আমরা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি। ’

নৌবাহিনীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই যারা আমার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ সুন্দরভাবে বসবাস করবে। একই সঙ্গে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করবে এবং আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে।

এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সশস্ত্র সালাম জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নৌ ঘাটির কমিশনিং ফরমান ঘাঁটি কমান্ডারের হাতে তুলে দেন।

পরে অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ২১০০’ বইয়ের মোড়ক উন্মেচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮/আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।