ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় কাত্যায়নী পূজায় বিশেষ চমক ‘মাগাধিরা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
মাগুরায় কাত্যায়নী পূজায় বিশেষ চমক ‘মাগাধিরা’ কাত্যায়নী পূজার মূর্তি। ছবি: বাংলানিউজ

মাগুরা: মাগুরা জেলার কাত্যায়নী পূজা গোটা দেশে পরিচিত। থিমের চমক, পাশাপাশি প্রতিমার উচ্চতাও অন্যতম সেরা আকর্ষণ। 

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এ পূজা শুরু হবে। এরপর রোববার (১৮ নভেম্বর) দশমীর মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হবে।

এবার শহরের বেশ কিছু পূজা মণ্ডপে দর্শক টানতে থিমের পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এরমধ্যে ছানাবাবুর বটতলায় কাত্যায়ানী পূজার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে তামিল সিনেমার মাগাধিরা ছবির আদলে। ৫৫ ফুট উঁচু এ প্যান্ডেল ঘিরে ইতোমধ্যে শহরে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

এবার মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই কাত্যায়ানী মায়ের মূর্তি তৈরি করছেন উজ্জ্বল কুমার গুরু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর কাত্যায়ানী পূজায় চমক থাকবে তামিল সিনেমার মাগাধিরা। এ মূর্তি তৈরিতে ব্যয় হবে ৫ লাখ টাকা। পূজা মণ্ডপ তৈরি হবে নব বৃন্দাবনের আদলে।

ফাল্গুনী ডেকোরেটরের মালিক সমীর কুমার বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমি কাত্যায়ানী পূজার প্রধান গেট তৈরি করেছি ভারতের বৃন্দাবন ধামের আদলে। এতে ব্যয় হবে ১৬ লাখ টাকা।

কাত্যায়নী পূজার মূর্তি।  ছবি: বাংলানিউজ

ছানাবাবুর কাত্যায়ানী পূজার সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠনে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৭০০ জন। তাদের চাঁদাতেই পূজার যাবতীয় খরচ হয়। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা সারাবছর বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক কাজ করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গীতা স্কুল, কন্যাদায়গ্রস্ত, চিকিৎসা, আর্থিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পংকজ কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ১০০ বছর ধরে দুর্গা পূজার এক মাস পর মাগুরায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ বছর মাগুরা পৌর এলাকায় ১৪টিসহ জেলায় মোট ৭৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরো বলেন, শহরতলীর পারন্দুয়ালী এলাকার সতিশ মাঝি এ পূজার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে যা ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। এটা জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও এ উৎসবে মিলিত হয় সব ধর্মের মানুষ, যা জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন। এ উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ দর্শণার্থীদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী নেপাল ও ভারত থেকেও ছুটে আসেন উৎসাহীরা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, মাতা দুর্গার ষষ্ঠ রূপের নাম কাত্যায়নী। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে এ পূজা করা হয়।

মাগুরা পুলিশ সুপার খান রেজওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, পূজায় দর্শণার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শহরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মণ্ডপগুলোর আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।