বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রথমে টেকনাফের কেরুনতলী ঘাট দিয়ে নাফনদী পার হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরুর কথা ছিলো।
আবুল কালাম আরো বলেন, মিয়ানমার আমাদের জানিয়েছে, তারা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এমনকি প্রত্যাবাসনের সময় সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন।
আনুষ্ঠানিকতা কি হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটিই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এদিক থেকে পাঠাবো, তারা ওদিকে থেকে গ্রহণ করবে। এছাড়া ভেরিফিকেশনের কিছু বিষয় আছে। চিরাচরিত আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম করা হবে।
তবে জাতীসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র সম্মতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনো কিছু জানায়নি। আমরা সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত জানা যাবে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে। প্রথম দফায় উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং শরণার্থী শিবির থেকে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জন্য রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
জেডএস