আর এদিকে স্বামী হৃদয় হোসেন জুয়েল স্ত্রীকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। তারপরও মল্লিকা মোবাইল ফোনে একাধিক পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলাসহ গভীর সম্পর্ক অব্যাহত রাখে।
গৃহবধূ হত্যায় স্বামীকে গ্রেফতারের পর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম হত্যাকাণ্ডের এমনি বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম জানান, হৃদয় হোসেন জুয়েল জেলা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের চাপান গ্রামের মতিয়র রহমানের ছেলে। নিহত মল্লিকা ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ভেদীকুড়া গ্রামের চারুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে এবং জুয়েলের তৃতীয় স্ত্রী। পাঁচ বছর আগে প্রেম করে নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেন তারা।
হত্যার কয়েকদিন আগে জুয়েলের অজান্তেই নেত্রকোনায় আসেন গৃহবধূ মল্লিকা। পরে অনুমান করা স্ত্রীকে নেত্রকোনায় এসে খুঁজে বের করে ফেলেন জুয়েল। প্রথম দেখাতে স্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ না করে কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি। ভালো কথাবার্তা বা আচরণের মাধ্যমে দক্ষিণ বিশিউড়া একটি ধান ক্ষেতে মল্লিকার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় জুয়েল।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া এলাকার ফসলি জমি থেকে মল্লিকার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাবা মান্নান ওই রাতে মল্লিকার স্বামী জুয়েলসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলায় জুয়েলের ভাই বিদ্যা মিয়াকে পরদিন ১৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ।
মল্লিকা ও জুয়েল ঢাকার গাজীপুরের শ্রীপুরে থাকতো। সেখানে মল্লিকা একটি গার্মেন্টস শ্রমিক ও জুয়েল ভাঙাড়ি দোকানে কাজ করতো। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার জন্য নিহতের স্বামী জুয়েলকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
জিপি