শামীমের মা কাজ করেন বাসাবাড়িতে। মায়ের উপার্জনের টাকায় সংসার চলে না, তাই শামীম ও তার বড় ভাই (৮) শরীফ ভ্যান নিয়ে ভাষানটেক ও ধামালকোট এলাকা থেকে ভাঙারি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে ভাঙারি দোকানদার শফিকুলের কাছে।
শফিকুলের এরকম আরও ছয়টি ভ্যান রয়েছে যেগুলো দিয়ে শামীম-শরীফের বয়সী অন্য শিশুরাও ভাঙারি সংগ্রহ করে।
ওই এলাকার আরেক ভাঙারি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন, এ সব শিশুদের বাবা-মা আমাদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দাদনের বিনিময়ে শিশুদের কাজে দিয়ে যায়। কাজ করে বাবা-মার নেয়া দাদনের টাকা পরিশোধ করে শিশুরা।
শামীমের মত আরো এক শিশু আদুরী জানায় এরকম একশ’র বেশি শিশু রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ থেকে বিভিন্ন ভাঙারি সংগ্রহ করে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করে দাদনের টাকা শোধ করে।
শামীম-শরীফরা রুটিন করে সকাল ৭টা বাজে স্কুলে না গিয়ে দাদন মালিকদের দোকান থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এতো সকালে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বাংলানিউজকে বলে যত তাড়াতাড়ি যামু ততো বেশি মাল পামু। স্কুলে যেতে ইচ্ছা করে না এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলে মা-বাবা না পাঠাইলে কেমনে যামু, টাকা কই পামু, কি খামু।
ওরা এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে চায় না, ওরাও চায় স্কুলে যেতে কিন্তু কে নেবে ওদের দায়িত্ব? ইচ্ছা থাকলেও এ বয়সী শিশুগুলো আজ তাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এভাবেই ঝরে পড়ছে হাজারো শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
জিএমএম/আরএ