বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন-মিলন (৩০), আসাদ মোল্লা (৪৫), জামাল মোল্লা (৫০), মাসুম (৪০), খোকন সরকার (৪৫), আক্তার মুন্সী (২৮), জাকারিয়া (২২), আক্তার মোল্লা (২৮), মুজিবর মুন্সী (৫৫) ও মোক্তার হোসেন(২৭)। বাকিরা সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরেই বংশগতভাবে মোল্লাকান্দি গ্রামের নুরু বাউল ও নাছির মোল্লা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। এনিয়ে কয়েকবার সংঘর্ষও হয়েছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষ বাধে। চার/পাঁচ গ্রামের মানুষ এ দুই গ্রুপে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের পাল্টা-পাল্টি হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করেন।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের আটক করতে বাড়িগুলোতে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ আগস্ট বালুরচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে আহত তকবির হোসেন মোল্লা পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ হত্যা মামলায় ১ নভেম্বর ৩৫ জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই