কিশোরগঞ্জ জেলার মকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তানজিনা নাজনীনের পরিকল্পনায় গড়ে উঠে দেশের প্রথম ‘মহানুভবতার দেয়াল’। পরে প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের কল্যাণে দ্রুত তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষক নাজনীনের ‘মহানুভবতার দেয়াল’ পরিকল্পনা ঠিক রেখে শুধু নাম পরিবর্তন করে ‘মানবতার দেয়াল’ লিখে অনেকেই জনসেবামূলক ব্যতিক্রম এই কাজটি শুরু করেন।
বুধবার (২১ নভেম্বর) দিনগত রাতে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার প্রধান সড়কের পাশের ফুটপাতে গড়ে উঠে আরো একটি মানবতার দেয়াল। সেখানে বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় শাহীনুর রহমান আপন নামে এক যুবক প্রতিষ্ঠা করেন অনলাইন ভিত্তিক ব্লাড ব্যাংক।
এছাড়া বেশ কিছুদিন আগে জেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরে জাহাঙ্গীর মাহমুদ নামে এক যুবকের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে মানবতার দেয়াল। মানবতার দেয়ালে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ তার ব্যবহৃত বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট না করে রেখে যায়। আর এক শ্রেণি তা প্রয়োজন মতো নিয়ে নেন। এভাবে গরীব অসহায়দের সাহায্য করা হয়।
এ বিষয়ে মোক্তারপাড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ওমর সাইফুল্লাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে মানবতার কল্যাণ। প্রশংসার অপেক্ষা রাখে না। এলাকার ছোট ভাইদের ভালো এ কাজে শরীক হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।
জেলা ও উপজেলার পৃথকস্থানে মানবতার দেয়ালের প্রতিষ্ঠা আপন ও জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে জানান, সমাজের অনেক গরীব দুঃখী মানুষ আছে যারা কাপড় চোপড়ের অভাবে কষ্ট করেন। ছেড়া বস্ত্র পরেই চলাফেরা করেন, লজ্জাকে হার মানায় দারিদ্র্যতা। মানবতার দেয়াল থেকে উপকৃত হবেন আর উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে হবে সমাজ সেবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এনটি