যদিও এলাকাটিতে সিটি করপোরেশনের নিয়মিত মশা নিধন করার কথা। যা ঠিকভাবে নিধন না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাসে দুয়েক বার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রধান সড়ক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে ফগার মেশিন দিয়ে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। তবে হলের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের স্প্রে করা হয় না। যে কারণে পাঁচ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হল ফগার মেশিন কিনে। সম্প্রতি হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলও নিজস্ব ব্যবস্থপনায় মেশিন কিনেছে। কিন্তু পুরো এলাকায় না দেওয়ায় শুধু দু’টি হলে দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে কোনো সুফল মিলছে না।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, একটি মশার মেশিনের মূল্য (কোরিয়ান) ৫৯ হাজার টাকা। এস্টেটের অধীনে চারটি মেশিন কিনলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়া একটি মেশিনে ১০ লিটার করে ওষুধ লাগবে যার মূল্য ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। মেশিন চালাতে এক ঘণ্টায় অকটেন লাগে ২ লিটার। চারটি মেশিন দিয়ে মাসে দুই বার পুরো বিশ্ববিদ্যালয় স্প্রে করলে ব্যয় ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে আড়াই লাখ টাকার মতো খরচ করলে ঢাবি এলাকাকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করার সম্ভব। যা ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ঘোষিত ৭৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাজেটে কোনো ব্যাপার না।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তাবটি খুবই ভালো। টাকা কোনো বিষয় না। আমরা এস্টেটের অধীনে কিনে রাখতে পারি। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসকেবি/টিএ