মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাতে মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা ওই মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ নভেম্বর বিএনপি কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাতের আগেই ঢাকা পল্টন মোড় থেকে নিখোঁজ হন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির এ নেতা।
পরে ২০ নভেম্বর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিচয় না পেয়ে পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মরদেহের ছবিসহ প্রচারণা চালায়।
বিষয়টি জানার পর নিহত আবুর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে রাখা মরদেহটি চিহ্নিত করেছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ সেখানেই ছিলো। বৃহস্পতিবার রাতে ওই মরদেহ কেশবপুর বিএনপির আবু বকরের বলে শনাক্ত করেছেন।
‘তবে নিহতের ভাতিজা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি থানায় এখনও এসে পৌঁছাননি। তিনি আসার পর বিস্তারিত বলতে পারবো। মরদেহ অনেকটাই পচে গেছে। নিহতের পরনে ছিল স্যান্ডো গেঞ্জি আর পাজামা। ’
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর এলাকায় না ফিরে তিনি পল্টন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। তার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীও অবস্থান করছিলেন।
১৯ নভেম্বর প্রার্থিতার জন্য সাক্ষাৎকার শেষে এলাকায় ফেরার কথা। কিন্তু ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। তাকে খুঁজে না পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার নেতাকর্মীরা পল্টন থানা ও র্যাবকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু সেই থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এজেডএস/ইউজি/এমএ/