বরিশালে আসার পর এরই মধ্যে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন প্রেমিক অপু মন্ডলের সঙ্গে। অপু বরিশাল নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া প্রধান সড়কের খ্রিস্টান কলোনির বাসিন্দা রবীন মন্ডলের ছোট ছেলে ও পেশায় একজন রং মিন্ত্রী।
বাংলানিউজকে অপু মন্ডল জানান, ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ফেসবুকে একটি বির্তক (ডিবেট) গ্রুপের মাধ্যমে সারার সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ ও ভিডিও কলে কথা হতো তাদের। এর মাঝে দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে ফেলেন।
‘যা পারিবারিক সম্পর্কে রূপ নিলে ভিডিও কলে উভয় পরিবারের সদস্যরাও কথা বলতে শুরু করেন এবং সখ্যতাও বাড়ে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন সারা। ’
অপু জানান, তারা একে অপরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। এর মাঝে ভিসার জন্য চেষ্টা করেও পাননি অপু। তখন গত কয়েক মাস ধরে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শুরু করেন সারা।
সবশেষে প্রেমিককে বিয়ের সিদ্ধান্তে গত ১৯ নভেম্বর সারা বাংলাদেশে আসেন। ওইদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপুর সঙ্গে তার প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতের পরই অপু সারাকে নিয়ে বরিশালে আসেন। ২০ নভেম্বর বরিশালে এলে ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিক সারাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় অপুর পরিবার।
অপুর মেঝ বোন স্কুল শিক্ষিকা সুমা রুৎ মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, সারা মেকিয়েন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তারাও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ধর্মমতে বাঙালি রীতি মেনে বুধবার (২১ নভেম্বর) গাঁয়ে হলুদ এবং আংটি পরিধানসহ বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, চার্চের ফাদার আশীর্বাদ করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় সারা শাড়ি পড়েন। তিনি ভাঙা ভাঙা বাংলা বলতে পারেন। এ দেশের মানুষের ভালোবাসা এবং আন্তরিকতায় সারা মুগ্ধ বলেও জানান সুমা রুৎ।
যাবতীয় ধর্মীয় আচার পালন করে দুইদিন ধরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা নগরের বান্দ রোডের একটি হোটেলে ওঠেন। এরপর নিজ বাড়িতে ফিরেন তারা।
এদিকে বরিশালের রং মিস্ত্রিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ের বিয়ের খবর চাউড় হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন-ই অপুর বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএস/এমএ