শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন কথায় বলেন গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা তাজরীন গার্মেন্টেসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১১২ শ্রমিককে স্মরণ করেন।
আয়োজনে বক্তারা বলেন, দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিকের মৃত্যু হলে শ্রম আইনের দোহায় দিয়ে পরিবারকে মাত্র এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সেটা বাড়িয়ে এখন দুই লাখ করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। অথচ বর্তমান সময়ে দুই লাখ টাকায় কি হয়, যেখানে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিই থাকেন না!
তারা বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টস সেক্টর থেকেই দেশ আয় করে সবথেকে বেশি। কিন্তু এই খাতের শ্রমিকরাই সবথেকে বেশি অবহেলিত। সরকারি আমলা-মন্ত্রীরা যেখানে লাখ-কোটি টাকা নিয়েও সংসার চালাতে হিমশিম খান, সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন মাত্র আট হাজার টাকা। আর এখন তো বেতন বাড়লে মূল বেতন বাড়ে না, শুধু যোগ হয় ভাতা! ফলে চাকরির শেষ সময়েও একজন শ্রমিককে ভুগতে হয় অনেক বেশি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন যাত্রা বাড়াতে হলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হবে। মালিকরা রক্ত শোষণ করবেন আর আমরা শ্রমিকরা রক্তশূন্যতায় ভুগবো, এটা আমাদের কাম্য নয়।
মানববন্ধনে তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ছয় বছর পূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত ঘটনার প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ না করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে অবিলম্বে নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনসহ সব গার্মেন্টসে শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
দুপুরে এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সুলতানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ভাজ এ্যাপারেলস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিলন বাড়ৈ, আহম্মদ ফ্যাশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের রিনা আক্তার, নিডেল ফ্যাশন্স শ্রমিক ইউনিয়নের তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর