শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে সমু্দ্র তীরে প্রার্থনা ও স্নানের মাধ্যমে শেষ হয় তিনদিনের মিলনমেলা। এর আগে বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে শুরু হয় এ মেলা।
মেলাকে ঘিরে হাজারো দর্শনার্থীর ভিড় ছিল আলোরকোলে। সবাই এখন ব্যস্ত আপন গন্তব্যে ফিরতে। দুই শতাধিক বিভিন্ন প্রকারের দোকানের পসরা গুছিয়ে সবাই চলছে আপন গন্তব্যে। টুরিস্ট লঞ্চ ও জালি বোর্ডগুলো তাদের কাস্টমার নিয়ে রওনা দিয়েছে বাড়ির পথে।
রাস উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রসপূর্ণ অর্থাৎ তাত্ত্বিক রস সমৃদ্ধ কথাগুলোকে রাসযাত্রার মাধ্যমে জীবাত্মা থেকে পরমাত্মায় রুপান্তরিত করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ উৎসব পালন করেন।
বাগেরহাটের মোংলা থেকে নদীপথে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে ২শ’ বছর ধরে এ উৎসব পালন হয়ে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বঙ্গোপসাগর চর আলোরকোল এলাকায় বসে পুর্ণিমার জোয়ারে স্নান করে, যাতে তাদের সব পাপ মোচন হয়ে যায়। হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণের হাজার হাজার মানুষ এ উৎসবে মিলিত হয়।
রাসমেলায় আগত দর্শক মনিরুল হাওলাদার বলেন, রাসমেলা ঘুরে খুব ভাল লেগেছে। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী ও মেলার সময় বাড়ানো হলে দর্শকরা বেশি খুশি হবে।
রাস উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন জানান, এ বছর সবার সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠুভাবে রাসমেলা সম্পূর্ণ করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই রাসমেলা শেষ হয়েছে। মেলা উপলক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি দর্শকের সমাগম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবার আলোরকোলে নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য আলাদা শেড ও পর্যাপ্ত টয়লেট তৈরি করা হয়েছিল। এটা প্রতি বছর করা হবে যাতে নারী দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
আরএ