তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আফজাল হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।
তরুণ পাইলট আরিফ আহমেদ দিপুর চাচাতো ভাই লতিফ বিশ্বাস বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, রসুলপুর টেলফি ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার সময় বিমান বাহিনীর এফ-৭ নামের একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়।
প্রতিবেশী সহোদর বন্ধু প্রকৌশলী আল মামুন, বাংলানিউজকে বলেন, বয়সে দিপুর চেয়ে বছর খানেকের বড় হলেও আমরা বন্ধুর মতই চলতাম। ছোটবেলা থেকে সে অনেক মেধাবী ছিল। বিভাগীয় প্রশিক্ষণ শেষে ‘সোর্ড অব অনার’ পদক পায় দিপু। এরপর সে এক বছর আমেরিকায় প্রশিক্ষণ নেয়।
দিপু ১৯৭৬ সালের ২৫ জুন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দুই বোন এক ভাই এর ভেতর তিনি ছিলেন সবার বড়। ১৯৮৮ সালে পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯৪ সালে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালে পাবনা শহরের মনোয়ার হোসেন জাহেদীর মেয়ে অন্তরা জাহেদীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ঈশিকা বিশ্বাস (১১) ঈশাম (৯) নামে দু’টি সন্তান রয়েছে।
এদিকে বিমান বাহিনীর মেধাবী এই অফিসারের মৃত্যুর খবরে ঈশ্বরদী শহর ও সলিমপুরের জগন্নাথপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর টেলকি ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার সময় বিমান বাহিনীর এফ-৭ নামের একটি প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
আরএ