ওইদিন সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত তোবা গ্রুপের মালিকানাধীন তাজরীন ফ্যাশনস পোশাক কারখানাটির নিচতলার তুলার গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো আটতলা কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানা পুলিশ অজ্ঞাতদের আসামি করে কারখানায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে একটি মামলা করে। ঘটনার কয়েকদিন পর রেহানা নামে নিখোঁজ এক শ্রমিকের ভাই আবদুল মতিন ঢাকার নিম্ন আদালতে তাজরীন ফ্যাশনসের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে একটি নালিশি মামলা করেন।
ঘটনার এক বছর আটদিনের মাথায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়েছে। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারাখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি। অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। ফলে শ্রমিকেরা নিচে নামতে পারেননি। মালিকের অবহেলাজনিত হত্যা ও নরহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৪৩৬, ৩০৪, ৩০৪-ক ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছয় বছর পার হলেও এখনও বিচার পায়নি নিহতদের পরিবার। তাজরীন ফ্যাশনস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও মালিকের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) মানববন্ধন করে গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রমিক ফেডারেশন ও শ্রমিক নেতারা শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
আরআর