শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) রাতে শহরের বীরপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের সময় চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।
এরা হলেন- সাত্তার মিয়ার ছেলে সাগর (২৫), ডলি মিয়ার ছেলে সাথি (২৪), আলামিন (২৫), সিয়াম (২৪) ও হৃদয় (২৪)। গ্রেফতারকৃতরা সবাই শহরের বীরপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বই-পত্র আনার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় তানভীর আহাম্মেদ। পথে বাড়ির অদূরে তানভিরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সন্তানের খোঁজ নেওয়ার জন্য সকাল ১০টায় তানভীরের মোবাইলে কল দেয় তার মা। কিন্তু ফোন রিসিভ করে না তানভীর।
পরে স্থানীয়রা বীরপুর স্কুলের পাশে একটি দোকানের পেছনে বুকে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তানভীরকে পড়ে থাকতে দেখে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও নিহতের বাড়িতে খবর দেয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত তানভীরের বাবা নাসির উদ্দিন খান অজ্ঞাতদের আসামি করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ প্রথমে শহরের বীরপুর থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলামিন নামে একজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানায়, তাদের ছিনতাই করার উদ্দেশ্য ছিলো। কিন্তু তানভীর তাদের সবাইকে চিনে ফেলে। যার কারণে সাথি তাকে মেরে ফেলার কথা বলে। আর সাগর তানভীরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
গ্রেফতারকৃতরা নিহত তানভীরের জানাজা ও দাফনের সময়ও অংশগ্রহণ করে। যাতে তাদের কেউ সন্দেহ না করে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মূলত চিনে ফেলার কারণেই তানভীরকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিরা সবাই ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের আদালতে নিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
আরএ