ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হেমন্তের বাতাসে মুকুলের ঘ্রাণ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
হেমন্তের বাতাসে মুকুলের ঘ্রাণ অগ্রহায়ণেই এই আমের মুকুল ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ভাষাণটেকের দেওয়ান পাড়া এলাকায়। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: শীত পেরিয়ে বসন্ত এলে তবেই না ফোটে আমের মুকুল। তবে রাজধানীর ভাষাণটেকের বাতাসে মৌ মৌ গন্ধ। ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়েছে পাগল করা ঘ্রাণ।

প্রকৃতিতে বাংলা ফাল্গুন মাসে আমের মুকুল এসে থাকলেও ভাষাণটেকের দেওয়ান পাড়ায় অগ্রহায়ণেই এমন মুকুল মাতিয়ে রাখছে পুরো এলাকা।

এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন।

মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। কোনো কোনো আমের মুকুল থেকে আবার এরইমধ্যে বেরিয়ে এসেছে ছোট ছোট আম।

নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গাছে মুকুল আসায় তা দেখার জন্য প্রায়ই ভিড় জমাচ্ছে লোকজন। অনেকের মতে, বছরজুড়ে গাছের পরিচর্যা করার কারণে এখন প্রতিবছরই আমের ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।
অগ্রহায়ণেই এই আমের মুকুল ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ভাষাণটেকের দেওয়ান পাড়া এলাকায়।  ছবি: জি এম মুজিবুর​নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গাছে মুকুল আসা প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খন্দকার কামরুল ইসলামের সঙ্গে।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশে কিছু গাছ আছে যেগুলোকে আমরা বারোমাসি গাছ বলে থাকি। এই গাছগুলোতে সারাবছরই ফুল বা ফল হয় তা ঠিক নয়, তবে বছরে দুই বা তিনবার এগুলো থেকে আমরা ফলন পেয়ে থাকি। এক কথায় এগুলোকে হাইব্রিড জাতের বৃক্ষ বলা যায়। আমাদের দেশি গাছের আমগুলো যখন শেষ হয়ে যায়, তখনো দেখা যায় এই গাছগুলোতে ফুল আসে। আবার অনেক সময় এটা আগেও হতে পারে।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃক্ষে পরিবর্তন হয় উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আরেকটি ব্যাপার যা থাকে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলেও অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন আমরা এখন বর্ষার কদম ফুল হেমন্তেও পাচ্ছি।

তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে যখনই আমের মুকুল আসুক না কেন, সাধারণ আমের মতো এটির স্বাদও যে স্বুস্বাদু হবে, তাও জানান এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।