শনিবার (২৪ নভেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খোকন আলী ওরফে হাত কাটা ঠাণ্ডু (৪৫) নামে ওই ডাকাত নিহত হন। তিনি সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের পুকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদরের মোল্লা তেঘরিয়া ক্যানালপাড়ায় দু’দল ডাকাতের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় এক ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নিহত ব্যক্তির নাম খোকন আলী ওরফে হাত কাটা ঠাণ্ডু।
পুলিশের ভাষ্যে, বন্দুকযুদ্ধে এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, রোববার (২৫ নভেম্বর) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখাইল্ল্যাপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) নামে ওই মাদকবিক্রেতা নিহত হন।
নাজিরপাড়ার এ বাসিন্দার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, ডাকাতি, মানি লন্ডারিংসহ ২১টি মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি দেশীয় অস্ত্র ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম এবং আরও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, ভোরে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকায় মাদকবিক্রেতা জিয়াকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় একদল পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা জিয়ার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রেতারা পিছু হটলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত জিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এএটি/এইচএ/