সোমবার (২৬ নভেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সহকারী পরিচালক থেকে পরিচালক পদমর্যাদর কর্মকর্তাদের এক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে দুদক চেয়ারম্যান এ নির্দেশনা দেন।
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষাসহ কল্যাণমূলক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কমিশন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকর্তার আচরণ, জ্ঞান, সক্ষমতা, বিবেচনাবোধ, নৈতিকতা, সমন্বয় সর্বোপরি মানুষের প্রতি অনুভূতি হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যখন ভালো কাজ করেন, আমার মনে হয় তখন আমার চেয়ে আর কেউ হয়তো বেশি খুশি হন না, আবার কেউ যখন অনৈতিক কাজ করেন তখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করি আমি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। এই উদ্যোগের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে দুদক। সমাজের প্রতিটি অংশকে এই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার দায়িত্বও কমিশনের। কমিশন এরইমধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির একটি বিরাট অংশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ এমন একটি চলমান প্রক্রিয়ার গতি যত ত্বরান্বিত হবে দুর্নীতি ততই কমে আসবে। এক্ষেত্রে জনআস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর জনআস্থা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনাদের কর্মস্পৃহা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা অপরিহার্য।
দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে মামলা-মোকদ্দমা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণাদি এবং সাক্ষী-প্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে অপরাধীরা বুঝতে পারে তাদের অপরাধ প্রমাণিত। অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ কমিশন করবে না।
অনুষ্ঠানে পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার শতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
আরএম/জেডএস