তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের অধীনে সেখানে উগ্রবাদের বিস্তার ঘটেছে। জনগণ ধৈর্যচ্যুত হয়েছে।
রাজধানীর এক হোটেলে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রিলিজিয়ন ফর পিস (আরএফপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড পিস থ্রো ইন্টারফেইথ অ্যান্ড ইন্ট্রা ফেইথ ডায়লগ’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথমদিনে তিনি এসব কথা বলেন। ইউ মিন্ট স্যুয়ে আরএফপি মিয়ানমার চ্যাপ্টারের চেয়ারপারসন।
ইউ মিন্ট স্যুয়ে আরও বলেন, আমি সংঘাতময় বুদ্ধিরাম, মাউন্ডং ও রাখাইন এলাকা পরিদর্শন করেছি। রাখাইনের রোহিঙ্গা ও বাঙালীরা ৮০ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। তাদের শিক্ষা নেই, জ্ঞান চর্চার সুযোগ নেই। তারা চিকিৎসা ও আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত।
তাই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হলে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষা স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের কর্মসূচি নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
দেশে ও দেশের বাইরে ইসলাম ও ক্রিশ্চিয়ানিটি নিয়ে মিয়ানমার আজ প্রশ্নের মুখোমুখী। সেখানে যে দ্বন্দ্ব চলছে মিয়ানমারের শান্তিপ্রিয় জনগণ তার জন্য দুঃখিত। মিয়ানমারের জনগণ শান্তি চায়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন।
বক্তব্য রাখেন- ইনডেনিয়াস পিপলস সংসদীয় গ্রুপের প্রধান ফজলে হোসেন বাদশা, এরএফপি এশিয়া গ্রুপের মডারেটর ও ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম স্কলার অধ্যাপক ড. এম দ্বীন শাসুদ্দিন, আরএপি এশিয়া গ্রপের সেক্রেটারি জেনারেল রেভারেন্ড নোবুহিরু মাসাহিরো নেমোতো, আরএফপি অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডেসমন্ড ক্যাহিল, চীনের সিসিআরপি প্রতিনিধি ওয়াং ওয়েজি, আরএফপি ইন্ডিয়ার মহাসচিব এন বাসুদেব প্রমুখ।
সেমিনারে সভাপত্বি করেন আরএফপি বাংলাদেশ চেয়ারপারসন অধ্যক্ষ সুকোমল বড়ুয়া, স্বাগত বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ড. আবু বকর।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এসএম/এসআরএস