দেয়ালের ভাঙা অংশ দিয়ে হাইকমিশনের একটি এসি দেখা যেতো। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকজনের যোগসাজসে এসিটি চুরি করেন কালু।
এ ঘটনার পর গত ২৫ নভেম্বর গুলশান থানায় অভিযোগ করেন পাকিস্তান হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তে নামে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূলহোতা কালুসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনটি সিপিইউ, দু’টি ইউপিএস, একটি কম্পিউটার মনিটর ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যানগাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- মোস্তফা (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), নিমাই বাবু (৪২) ও সেকুল ইসলাম (৩৫)।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) গুলশান থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বর অভিযোগ পাওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। এরপর সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে একটি এসি বের করে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছে এবং তিনটি সিপিইউ বের করে সিএনজিতে করে নিয়ে যাচ্ছে। পুরো এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা একজনের চেহারা শনাক্ত করতে পারি। তারপর সেই ছবিটি স্থানীয় সুইপারদের দেখালে তারা একে কালু বলে চিহ্নিত করেন। তখন কালুর বাসায় গিয়ে তাকে আটক করলে পুরো ঘটনা বেরিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, কালু এলাকায় বোতল কুড়াতেন। পাকিস্তান হাইকমিশনের পেছনে বোতল কুড়াতে গিয়ে ভাঙা দেয়াল দেখে চুরির পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মোস্তফা ও দুলালের সহায়তায় প্রথমে এসিটি চুরি করেন। তারপর ভবনের ভেতরে গিয়ে সিপিইউ ও ইউপিএসগুলো চুরি করে পালিয়ে যান।
ডিসি মোস্তাক বলেন, তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যেখানে জিনিসপত্রগুলো বিক্রি করেছে, সেখান থেকে সিপিইউ ও ইউপিসগুলো উদ্ধার করি। কিন্তু যার কাছে এসি বিক্রি করেছেন সেখানে গিয়ে এসিটি অক্ষত পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ এলাকায় আমরা সবসময়ই সতর্ক থাকি। এ ঘটনার পর আমরা হাইকমিশনারকে দেয়াল ঠিক করতে এবং সিসিটিভি বাড়িয়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
পিএম/আরআইএস/