গুরুতর আহতাবস্থায় আবু মুসাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ায় হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ নভেম্বর ) বেলা ১১টায় মহানগরীর শিরোমণিস্থ খুলনা জেলা পুলিশের ফায়ারিং সেন্টারে বার্ষিক ফায়ারিংয়ের ট্রেনিংয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসি) কমান্ড্যান্ট শেখ ওমর ফারুক বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আবু মুছাকে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ফায়ারিংয়ের সময় ৯নম্বর টার্গেটে ফায়ারিংয়ের প্রস্তুতিকালে বরিশাল জেলা পুলিশের নায়েক আবু মুছা (নায়েক নম্বর ৪৮) নিজের অস্ত্রে গুলি লোড দেওয়ার পরে গুলি বের হচ্ছিলো না। পরে সচল করার সময় অস্ত্রের মধ্যে থাকা গুলি বেরিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আবু মুছার পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনা (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশং) সোনালী সেন জানান, ফায়ারিংয়ের সময় আবু মুছার নিজের রাইফেলে গুলি আটকে যায়। তখন তিনি অস্ত্রটি সচল করার সময় গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার পেটে নিচের অংশে লাগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/