বুধবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের (আইন সহায়তা কর্মসূচি বিভাগ) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট লকারির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আইনের শাসন রাষ্ট্রভেদে সামাজিক, আর্থিক এবং সংস্কৃতির ভিন্নতার কারণে আপাত দৃষ্টিতে ভিন্ন মনে হলেও চূড়ান্ত বিচারে অপরাধের শাস্তি নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। আমাদের তদন্তের মান আপ-টু-দ্য মার্ক নয়, কাঙ্ক্ষিত মানের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণেই হয়তো কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা একত্রে প্রশিক্ষণসহ উত্তম চর্চার বিকাশে যেসকল কাজ করছি, এসকল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে চাই। সম্পদের অপ্রতুলতা ও সম্পদের অপচয় রোধে এসকল প্রশিক্ষণ ভেন্যু শুধু যুক্তরাষ্ট্রে না করে বাংলাদেশেও করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম যেমন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, সততা সংঘ, সততা স্টোরের বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণ দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, এ সকল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মানুষ সততা চর্চা বিকশিত করছে। দুর্নীতিকে এদেশের সাধারণ মানুষ মন থেকে ঘৃণা করে এখন।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম, পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সেবায় হয়রানি-অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, সর্বোপরি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এসময় ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের (স্ট্রেংথেনিং অব ল’ প্রোগ্রাম) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রবার্ট লকারি দুদকের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এটা অনুকরণীয় এবং আমি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবার বাংলাদেশে আসবো। সেসময় আমি সততা সংঘ, সততা স্টোর ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম সরেজমিনে দেখবো।
এর আগে রবার্ট লকারি দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্ট্রেংথেনিং রুল অব ল’ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় দুদক কমিশনার বলেন, আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর এবং বিচারিক আদালতের বিচারকদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
আরএম/টিএ