এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধরা হামলাকারী কয়েকজনের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নারী-শিশু বৃদ্ধসহ অন্তত ১৫ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
নিহত মাসুদ সদরের মেদনি ইউনিয়নের বাহির চাপড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি একই এলাকার মৃত আব্দুল মুকিবের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের রাজুর বাজার এলাকার বালুয়াখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাসুদকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের চাচাতো ভাই আবুল কাশেম ও ভাতিজা রিপন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা মাসুদের সঙ্গে সবুজ খান ও তার পরিবারের বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় মাসুদকে প্রতিবেশী নয়ন, ফয়সাল, সাফায়েত, লিলু, ইকবাল ও লিপটন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তথা সদস্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মাহমুদ আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, আগুনে দুইটি বাড়ি পুড়ে অন্তত লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
আরআর