বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রহমান কুতুবজোম ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুতুবজোম পশ্চিম পাড়া এলাকার সোলেমানের ছেলে মোহাম্মদ শরিফ প্রকাশ ধলা ফকিরের কাছ থেকে মাঠে কাজ করার জন্য ১০ হাজার টাকা অগ্রিম মজুরি নেন একই এলাকার মো. আলমের ছেলে নুর হোসেন। শর্ত ছিল পুরো লবণ মৌসুমে তার জমিতে কাজের জন্য তাকে ৬০ হাজার টাকা মজুরি দেওয়া হবে এবং মৌসুম শুরুর আগে আরও ১০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে জটিলতা দেখা দিলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি শালিসী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের এক পর্যায়ে ধলা ফকির নুর হোসেনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় নুর হোসেনের নানা শ্বশুর বৃদ্ধ আব্দুর রহমান বিষয়টি দেখে তাকে উদ্ধার করতে যান। এসময় আব্দুর রহমানকে ধাক্কা দেন ধলা ফকির। এতে টেবিলের কোণায় লেগে বৃদ্ধ আব্দুর রহমান গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আব্দুর রহমানের মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ থানায় রয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দেননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর, ৩০, ২০১৮
এসবি/আরআর