শুক্রবার (১) ভোর ৫টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার পালং উত্তর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর থানার কমলাপুর গ্রামের সুখচাঁদ বৈরাগির ছেলে পলাশ বৈরাগী (২৫) ও রবি সরকারের ছেলে বিশ্বজিৎ বাড়ৈ (২০)।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো- স্বপন দাসের আপন জুয়েলার্স, সজিব দেবনাথের সজিব ক্লথ স্টোর, জাফর হোসেনের তানভির বেডিং স্টোর, রনজিত কংসবণিকের পিতলের দোকান, আবদুল বাতেনের পালং ডেকোরেটর, গোবিন্দদের দু’টি দোকান ও ছয়টি বাসা, হারু ঘোষের হারু ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার, গোপাল ঘোষের গোপাল ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার, জসিম খন্দকারের শাকিল স্টোর, স্বপন মুন্সির মুদি দোকান, জাকির মুন্সির মুদি দোকান, আবুল হোসেনের মামা ভাগ্নে হার্ডওয়ার দোকান, সবুজের সবুজ স্টোরের গোডাউন ও আলী আজমের আল্লাহর দান লাইটিং দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভোর ৫টার দিকে খবর পয়ে শরীয়তপুর, ডামুড্যা ও মাদারীপুর তিনটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় দোকানের দুই কর্মচারী নিহত হয়েছে। মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০ কোটি বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও নিরূপণ করা যায়নি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে বলেও জানা তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুর রহমান। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোকানের দুই কর্মচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
জিপি