শনিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দু’টি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এরপর দু’টি পক্ষই বিমানবন্দরের মূল সড়কে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার বাংলানিউজকে জানান, ভোর থেকেই আশকোনা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ। একপক্ষ বিমানবন্দরের বিপরীতে আশকোনা এলাকায়, আরেকপক্ষ অবস্থান নিয়েছে আব্দুল্লাহপুরে।
তিনি বলেন, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আমরা চেষ্টা করছি। অন্তত রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তাবলিগের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর থেকে (৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৫ দিনের জোড় (সম্মিলন) আয়োজন করার কথা ছিল ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের। আর তাবলিগের দেওবন্দপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় আয়োজন করবেন। সাদপন্থীদের আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা এবং দেওবন্দপন্থীদের আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা করার কথা রয়েছে।
এই বিবাদের জেরে আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে দেওবন্দপন্থীরা মাঠ দখল করে পাহারা দিচ্ছে বলে গত ২৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সাদপন্থীরা। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন সাদপন্থী তাবলিগের অনুসারীরা। সাদপন্থীরা বলছেন, তাদের আয়োজনকে ঠেকাতে আরেক গ্রুপ ভোরে ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী সড়কে অবস্থান নিলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, দুই পক্ষের অবস্থানের কারণে সকালেই তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসসহ কর্মস্থলগামী লোকজন। মিরপুরের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার থেকে কুড়িল হয়ে বারিধারায় পৌঁছাতে সাধারণত ১০ মিনিট লাগলেও শনিবার ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারেননি অনেকে। এই জটের কারণে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
আরএস/জেডএস/পিএম/এইচএ/