শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত কাশেম হাওলাদার ভোলা সদর থানাধীন ধুনিয়া এলাকার রাজি মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
মৃতের ভাই আব্দুল বাছেদ হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, তেল পরিবহনের জন্য কাশেমের একটি ট্যাংক লরি রয়েছে। এতে করে বরিশাল থেকে তেল নিয়ে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার দৌলতখান থানাধীন বাংলাবাজারের তেলের একটি দোকানে পাওনা আদায়ের জন্য যান কাশেম।
ওই দোকানে বসা অব্স্থায় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরও জানান, যদিও এ সময় তার সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি।
এদিকে কাশেমের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা ফের অবনতি হলে তাকে নিবির পর্যবেক্ষণের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মরদেহ সুরতহাল ও ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মরদেহ রাখা কক্ষে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএস/এএটি