নিহত মাসুদ সদরের মেদনি ইউনিয়নের বাহির চাপড়া এলাকার মৃত আব্দুল মুকিবের ছেলে। তিনি জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও পৌর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আটক নারী-পুরুষরা হলেন- মো. শাহজাহান তালুকদার সবুজ, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী স্বপ্না পারভীন। তারা শহরের রাজুর বাজার এলাকার বালুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের চাচাতো ভাই আবুল কাশেম ও ভাতিজা রিপন মিয়ার বরাত দিয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে জানান, আটক সবুজ, সেলিনা ও স্বপ্না হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বা নির্দেশদাতা।
জমি-জমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে কৃষক লীগ নেতা মাসুদকে প্রতিপক্ষ সবুজ এবং ওই দুই নারী হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের রাজুর বাজার এলাকার বালুয়াখালি গ্রামে মাসুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
দেহ থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন ক্ষত-বিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডে সবুজের ছেলে নয়নসহ ফয়সাল, সাফায়েত, লিলু, ইকবাল ও লিপটন অংশ নেয় বলে নিহতের চাচাতো ভাই কাশেম ও ভাতিজা রিপনের দাবি।
সন্ধ্যায় মাসুদ হত্যার পর রাতে বিক্ষুব্ধরা হামলাকারী সবুজ ও নয়নের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় আগুনে পোড়া বাড়িঘর থেকে নারী-শিশু বৃদ্ধসহ অন্তত ১৫ জনকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তথা সদস্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে এ ঘটনা নির্মম ও লোমহর্ষক মন্তব্য করে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, যতদ্রুত সম্ভব কৃষকলীগ নেতা মাসুদ হত্যায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্ত সবুজ এর আগেও একটি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়েছেন বলে যোগ করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
আরএ