শনিবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝুমু একই ইউনিয়নের আতাইল শিমুল গ্রামের রেলওয়ে কর্মচারী আবেদ আলী প্রামাণিকের ছোট মেয়ে ও দাদপুর গ্রামের রেজাউল করিম রিন্টুর স্ত্রী।
নিহতের ভাই আরিফুল ইসলাম আরিফ বাংলানিউজকে জানান, ‘প্রায় চার বছর আগে দাদপুর গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম রিন্টুর সঙ্গে জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে ও বেড়াতে আসতে দিতো না। শনিবার সকালের দিকে ওই এলাকার স্থানীয় এক প্রতিবেশী মোবাইলে খবর দেয়, আমার বোন ঝুমু বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে দগ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে শুনতে পাই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। ’
তিনি জানান, ‘ডাক্তার মৃত ঘোষণা করার পরও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য মরদেহ গাড়িতে তুলছিল। এসময় আমরা হাসপাতালে পৌঁছালে তারা মরদেহ ফেলে রেখে সটকে পড়েন। বোনের গায়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে আমাদের সন্দেহ হয় তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ’
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওই গৃহবধূ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে দগ্ধ হওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ঝুমুর মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্ট, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
জিপি