শনিবার (০১ ডিসেম্বর) ভোর থেকে দু’টি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের লোকজনের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন খিলক্ষেত, কুড়িল, বনানী, মিরপুরসহ আশপাশের সংযোগ সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়ে মুসল্লিদের চলে যেতে বলেন। এরপর দু’পক্ষের লোকজনই সেখান থেকে সরে যান।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, সাদপন্থী ও জোবায়েরপন্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বর্তমানে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় ও তাবলিগের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর থেকে (৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৫ দিনের জোড় (সম্মিলন) আয়োজন করার কথা ছিল ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের। আর তাবলিগের দেওবন্দপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় আয়োজন করবেন। সাদপন্থীদের আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা এবং দেওবন্দপন্থীদের আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনের ইজতেমা করার কথা রয়েছে।
এই বিবাদের জেরে আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে দেওবন্দপন্থীরা মাঠ দখল করে পাহারা দিচ্ছে বলে গত ২৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সাদপন্থীরা। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন সাদপন্থী তাবলিগের অনুসারীরা।
সাদপন্থীরা বলছেন, তাদের আয়োজনকে ঠেকাতে আরেক গ্রুপ ভোরে ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী সড়কে অবস্থান নিলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরা জানান, ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মুসল্লিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে তাবলিগ জামায়াতের অনুসারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে ওই সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
আরএস/জেডএস