বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
ঢাকা: রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন তেজগাঁওয়ের হাসনা আহমেদ। এর দুইদিন পর তিনি মৃত্যু বরণ করেন সেখানে। এ নিয়ে তার ছেলের অভিযোগ- হাসনার অবস্থা মুমূর্ষু হলেও হাসপাতালে তাকে সেভাবে চিকিৎসার আওতায় নেয়া হয়নি। অবহেলা করা হয়েছে। এমনকি সেখানে তাকে কোনো চিকিৎসক দেখতেও আসেননি।
শনিবার (০১ ডিসেম্বর) চিকিৎসা না পেয়ে হাসনা আহমেদ ওই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে তার ছেলে মাকসুমুল মাহমুদ বারডেমকে উদাসীনতার দায় দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে (আনুমানিক ১টার দিকে) আমার মা হাসনা আহমেদ শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন।
আগে থেকেই ডায়াবেটিসের রোগী হওয়ায় ওই সময়ই তাকে শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু গভীর রাতে একজন রোগী নিয়ে যাওয়ার পরও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। তাদের অনুরোধ করে রোগীকে সেখানে ভর্তি করতে হয়। ১১০২ নং কেবিনে ভর্তি করি। কিন্তু ভর্তির পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত একজন চিকিৎসকও রোগীর কোনো খোঁজ-খবর নেননি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাত হওয়ায় এবং শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় কোনো চিকিৎসক এক বারের জন্যও আমার মায়ের চিকিৎসা বা খোঁজ নিতে আসেননি। এমনকি ডিউটি ডাক্তার পর্যন্তও আসেননি। এ ব্যাপারে নার্সদের সহযোগিতা চাইলেও কোনো আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
রোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ভর্তির পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক না পাওয়া গেলেও শনিবার রোগী মৃত্যুর পর সিকিউরিটি বেষ্টিত হয়ে অসংখ্য ডাক্তার সেখানে চলে আসেন। এমনকি রোগীর কী হয়েছে, কীভাবে মারা গেলেন, সে বিষয়ে তারা রোগীর স্বজনদের কাছেই জানতে চান। এতে একপর্যায়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত মৃত রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল ত্যাগ করতে এক প্রকার বাধ্য করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ফজলে রাব্বী বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্বজনরা কিছুটা উত্তেজিত হয়েছিলেন। তবে এ ঘটনা সকালেই মিটমাট হয়ে গেছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো ত্রুটি ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি সে বিষয়ে জানেন না বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএএম/টিএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।