রোববার (০২ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বেনাপোলের কাগজপুকুর গ্রামের আব্দুল মতলেবের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৭), গোলাম নাড়ুর ছেলে সাত্তার আলী (৫২) ও কাগমারী গ্রামের ছাত্তার ডাকাতের ছেলে আরিফ (৪০)।
শনিবার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিহত আমিরুলের ছেলে সাগর বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে ২৪ জনের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফকির তাইজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতারকৃতদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত আমিরুলের নামে ১৬টি মামলা ছিল। তিনি গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পালিয়ে যান। সাত বছর এলাকায় ফিরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। চুক্তিতে মানুষ হত্যা ছিল তার পেশা। বার বার বিভিন্ন বাহিনীর হাতে আটক হলেও ছাড়া পেতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে যশোরের সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লু রহমান মিন্টু, বেনাপোল পৌর আ’লীগ নেতা ছামাদ ও যশোরের যুবলীগ নেতা রিপনসহ প্রায় অর্ধ ডজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন আমিরুল।
এর আগে শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোলের কাগজপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে এলাকাবাসী আমিরুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআইএস/