সরেজমিনে দেখে যায়, মাগুরায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে সিটের সংখ্যা মাত্র ১০টি। সিটের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রতি সিটে দুই শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পারনান্দুয়ালী থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সুমি খাতুন (৩৫) বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে জানালার গ্লাস ভাঙা, দরজা-জানালার ছিটকানি না থাকায় অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে রাত খুব কষ্ট করে পার করতে হচ্ছে। এতে করে শিশু আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া হাসপাতালের বাথরুম পরিস্কার না থাকায় খুব কষ্ট করে এখান থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সিনিয়র নার্স রাশেদা বেগম বাংলানিউজকে জানান, শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে আত্মীয় স্বজন বেশি থাকায় আমাদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা একাধিকবার নিষেধ করলে তা মানছে না। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। আমরা শিশুদের যথাসম্ভব চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে শীতজনিত কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সিট সংখ্যা বাড়ছে না।
মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক জয়ন্ত কুণ্ড বাংলানিউজকে বলেন, এখানে চিকিৎসা খুবই ভালো। আমাদের হাসপাতালের শিশু ওর্য়াডের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। তবে একজন ডাক্তার দিয়ে এতো শিশুর সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিশু ওয়ার্ডে দুইজন শিশু ডাক্তার থাকলে রোগীদের সেবা দিতে সহজ হতো।
মাগুরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের শিশু রোগীদের জন্য আসন সংখ্যা ১০টি। এতে শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অচিরেই আমরা নতুন ভবনে শিশু বিভাগ নিয়ে আসা হবে। তখন আর কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এনটি