গুজব শনাক্তকরণের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল’ জানিয়েছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
‘পোলিং এজেন্টদের মাথা কেনা’ সংক্রান্ত একটি ভুয়া খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
রোববার (০২ ডিসেম্বর) ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক, চেক নং-ক-৭২১১০১৪, তারিখ ২৫/১১/১৮ এর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট-এ ২২৫ কোটি টাকা দিয়ে ‘পোলিং এজেন্টদের মাথা কেনা’র- খবরটি একটি নির্বাচনকেন্দ্রিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব।
‘প্রকৃত তথ্য হলো, বেসরকারি শিক্ষক কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধা ফান্ডটি শুধুমাত্র বেসরকারি এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক কর্মচারী এরইমধ্যে অবসরে গেছেন তাদের জন্য ব্যবহৃত হয়। যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন এই বরাদ্দ তাদের জন্য কখনোই ব্যবহৃত হয় না। ’
তথ্য অধিদফতরের (পিআইডি) মাধ্যমে সরকারি তথ্য বিবরণীর মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্তদের কেউই পোলিং এজেন্ট বা অন্য কোনো নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন না। পোলিং এজেন্ট কিংবা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। যেহেতু এ বরাদ্দ বর্তমানে কর্মরতদের জন্য নয়, সেহেতু এ থেকে পোলিং এজেন্টদের সুবিধা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং ‘পোলিং এজেন্টদের মাথা কেনা’র তথ্যটি গুজব।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টে ২২৫ কোটি টাকার মাধ্যমে ‘পোলিং এজেন্টদের মাথা কেনা’র বিষয়টি তাই সম্পূর্ণ অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গুজব মর্মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল নিশ্চিত করছে। ’
গত আগস্টে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব শনাক্তে গত ৯ অক্টোবর ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এ সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের বক্তব্য গণমাধ্যমকে জানানোর কথা।
‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সেল’ এটিসহ দ্বিতীয় গুজবের কথা জানালো। এরআগে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিখোঁজ’- শিরোনামে সংবাদ দিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তি তৈরির পর এই সেল সংবাদটিকে গুজব বলে জানিয়েছিল।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেও উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় মনিটর করে ফেক নিউজ হলে ডিজিটাল আইনে মামলা করবে বলে জানিয়েছে রোববার।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস