ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবন্ধীদের মেধা-শক্তি কাজে লাগাতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
প্রতিবন্ধীদের মেধা-শক্তি কাজে লাগাতে হবে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: প্রতিবন্ধীদের ভেতরের শক্তি ও মেধাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিবন্ধীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না। আমরা যেন তাদের অবহেলা না করি, মানুষ হিসেবে তাদের যে অধিকার—তা যেন দিতে পারি।

প্রতিবন্ধীদের উপযোগী করে স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিবন্ধীদের ভেতর যে শক্তি আছে, যে মেধা আছে তা যেন ব্যবহার করতে পারি। তাদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৮ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হওয়া প্রতিবন্ধী ও সংগঠকদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন তিনি।

‘সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যে এ বছর দিবসটি পালিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে এক প্রতিবন্ধী নিজ হাতের তৈরি প্রীতি উপহার ‘নৌকা’ তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও একান্ত মনে ওই প্রতিবন্ধী নারীর কথা শোনেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের দেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠী যারা, তাদের কীভাবে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়, তাদের ভেতর যে মেধা ও শক্তি রয়েছে সেগুলোকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়।

প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণ নিয়ে আসে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় যারা তারা সবসময় আমাদের দেশের জন্য স্বর্ণ অর্জন করে। এর থেকে বোঝা যায় তাদের ভিতরে সুপ্ত ক্ষমতা আছে। কাজেই তাদেরকে আমাদের প্রস্তুত করতে হবে, যেন আমাদের দেশের কাজেও তারা লাগতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল, কিছুদিন পরপরই আন্দোলন হয়। সেজন্য আমরা কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছি এটা ঠিক। তবে একটা নীতিমালা আমরা তৈরি করছি। তবে সেখানে অবশ্যই প্রতিবন্ধী, নৃগোষ্ঠী বা অনগ্রসর জাতি, তাদের সকলের যেন একটা অধিকার থাকে তারা যেন যথাযথভাবে চাকরি পায় এবং চাকরিতে যেন তাদের একটা অধিকার বা জায়গা করে দেওয়া হয়, সে ব্যবস্থাটা অবশ্যই করা হবে। সেই নীতিমালাও আমরা প্রস্তুত করে দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮/আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।