সেই গৌরবময় দিনটির স্মরণে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বরগুনা মুক্ত দিবস পালন করে মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশের বিভিন্ন জেলা একে একে মুক্ত করতে শুরু করেন তখন বরগুনার মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর বামনার বুকাবুনিয়া সাব সেন্টার থেকে নির্দেশ আসে বরগুনা জেলাকে হানাদার মুক্ত করার।
হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর বরগুনা মুক্ত করার লক্ষ্যে আবদুস সত্তারের নেতৃত্বে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা ৬টি ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
ফজরের আজানকে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একই সঙ্গে চতুর্দিকে গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পরে পাকিস্তানী বাহিনী। সম্মুখ যুদ্ধে না গিয়ে বরগুনা থেকে পালিয়ে যায় তারা।
মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা উড়ায় এ জেলার বুকে। সেই থেকেই ৩ ডিসেম্বরকে বরগুনা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বরগুনার মুক্তিযোদ্ধারা।
বরগুনার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, মোতালেব মৃধা, আ. রশিদ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে সম্মানিত করেছে শহিদ পরিবার গুলোকেও সেই খেতাবে ভূষিত করে মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
বরগুনা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ব্যাপক কর্মসূচি পালন করবে।
সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমার্ল্য অর্পণ করা হয়। পরে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাগরপারী খেলাঘর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
আরএ