সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রোববার (২ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক আটটার দিকে সাহাপুর পোস্ট অফিসমোড় সংলগ্ন নজুর মুদির দোকানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মন্ত্রীমোড় সংলগ্ন রতন কারিগরের ছেলে সোহান হোসেনের স্ত্রী।
সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকির ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, সাথী এবং সোহান একসঙ্গে ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মোটরসাইকেলে করে তারা অফিসে যাতায়াত করতেন।
রোববার (২ ডিসেম্বর) রাতে অফিস ছুটির পর তারা পাকশী- পাবনা বগামিয়া রোড দিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় নজুর মুদির দোকানের সামনে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেলের পেছন থেকে সাথী ছিটকে পাকা রাস্তায় পড়ে গেলে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি করিমন তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন সাথী।
আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী ও পরে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সোমবার সকালে সাথীর মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
আরএ