এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দিয়েছেন ‘আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না, একতরফা নির্বাচন চায় না। তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সম্পর্কে বলেছেন, মওদুদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাবো।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় বিএনপি’র এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ আহমদ সাহেব। আমাকে রিলায়অ্যাবল সোর্স থেকে জানানো হয়েছিল যে তার (মওদুদ) মনোনয়নপত্রে কিছু কিছু ত্রুটি আছে, ঘাপলা আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম যে মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাবো।
তিনি বলেন, মওদুদ সাহেব নির্বাচন না করলে তাহলে তো আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেখানে জমবে না। আমি কার সঙ্গে নির্বাচন করবো, কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো? আমার এই মানসিকতা ছিল। ওনার প্রার্থিতা টিকে যাক এটা আমি চাই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়ও এরকম অবস্থা হয়েছিল। তখনও আমি বলেছিলাম আমার এখানে আমি কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি করবো না। নিয়ম-কানুনের সমস্যা নিয়ে আমি লড়তে যাবো না। কাজেই যে যেখানেই বাদ গেছেন নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের কারণেই বাদ গেছেন। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
ভোটের লড়াইয়ের জন্য নৌকা ছেড়ে ধানের শীষে যোগদানের বিষয়ে বলেন, এটা তাদের ব্যাপার। এসময় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাদের বলেন, রেজা কিবরিয়া কখনোই আওয়ামী লীগ করেননি। কিবরিয়া সাহেব আমাদের সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আমাদের নেত্রীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন কিবরিয়া সাহেব।
‘ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, মোহসিন হোসেন মন্টু এরা আওয়ামী লীগ করেছেন কিন্তু রেজা কখন আওয়ামী লীগ করেননি। ’
আওয়ামী লীগ জোটের শরিকদের ৭০টির বেশি আসন ছাড়ছে না জানিয়ে আবারও বলেন, আমাদের জোটগত ও দলগত প্রার্থী মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে আছে। তালিকা না দিলেও মৌখিকভাবে চূড়ান্ত বলা আছে। কিছু কিছু আসনে প্রত্যাহারে শেষ দিনেও হয়তো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটের দৌড়ে থাকতে চাইবেন। তাদের বিষয়ে আমাদের কঠোর বার্তা দেওয়া আছে। আমরা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, করবো। আওয়ামী লীগাররা সময়মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। তবে প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর আর নরম থাকার সুযোগ নেই, আমরা আগেও বলেছি আজীবন বহিষ্কার করা হবে।
২০ দলীয় জোটের নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ তার নির্বাচনী এলাকায় নিজ খরচে ইভিএম ব্যবহারের আবেদন করেছেন- বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ঐক্যফ্রন্টকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের উদীয়মান তরুণ মেধাবী নেতা ইভিএম চান। তাহলে তারা কেন ইভিএম ব্যবহারের এতো বিরোধিতা করলেন?
মনোনয়ন বাতিল কমিশনের বিষয়, সরকারের সংশ্লিষ্টতা নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এসএম/এএ