সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে- শিল্প, স্বরাষ্ট্র, তথ্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
তথ্য মন্ত্রণালয় এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এজন্য ১৮ জানুয়ারির মধ্যে সুপারিশ দিতে হবে।
পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম তিনটি গ্রেডে ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
নবম ওয়েজবোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য বেতন কাঠামোর কোনো সুপারিশ নেই জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন থেকে বের হয়ে সব গণমাধ্যমকর্মীর জন্য একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন এবং সংবাদপত্র শিল্পের মতো বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নতুন করে সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের অনুরূপ অথবা ভিন্ন একটি ওয়েজবোর্ড গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
অনলাইন মিডিয়া আলাদা রোয়েদাদ করার সুপিারিশ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আর ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা যুক্ত করা ও মিডিয়ার জন্য ভিন্ন একটি আইন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ডের রোয়েদাদ এর সুপারিশ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এই সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়।
ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে। ২০১২ সালে সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরের বছর এই বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর নিজেদের নতুন বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন কর আসছেন সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ