ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ায় ২ বছর ধরে ঘরছাড়া পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ায় ২ বছর ধরে ঘরছাড়া পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিল্লাল শিকদার। ছবি-বাংলানিউজ

মাদারীপুর: মাদারীপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর বিষ পান করিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করায় আসামিদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদীর পরিবার। 

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার এমএম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরিতে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নিহত স্কুলছাত্রী সুমাইয়ার বাবা ও মামলার বাদী বিল্লাল শিকদার।

তার অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট জেলার সদর উপজেলার মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও হ্যাপী আক্তারকে ধর্ষণের পর বিষ পান করিয়ে হত্যা করা হয়।

এমন নির্মম হত্যার ঘটনায় সদর হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে ময়নাতন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলা করলে পুলিশের পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের না জানিয়েই সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি পুলিশ। এতে মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসরাফ হোসেন আদালতে শিপন শিকদার, সালমা বেগম ও রফিকুল ইসলাম সজিবকে অব্যাহতি দিয়ে মেহেদী, আল-আমিন, নাজমুল, উজ্জ্বল, রকিবসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বিল্লাল শিকদার সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা সবাই জামিনে বেড়িয়ে এসে প্রতিনিয়ত আমাদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এজন্য গত দুই বছর ধরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এছাড়া পুলিশের সহযোগিতায় উজ্জ্বল, নাজমুল, সজিব, আল-আমিন এরই মধ্যে দেশের বাইরে চলে গেছেন। মামলার প্রধান আসামি রানা নাগার্সী, শিপন শিকদার, রফিকুল, রকিব শিকদার, সজিব হাওলাদার, রানার মা সালমা বেগম গ্রেফতার হন। কিন্তু পরে তারা জামিনে বের হয়ে আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। বাকি দুই নম্বর আসামি উজ্জ্বল, মেহেদী, নাজমুল ও আল-আমিন এখনও পলাতক। পুলিশ তাদের আজও খুঁজে বের করতে পারেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।