মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা কলেজের সামনে বেইলি রোডের সড়কে বসে পড়েন।
নিহতের সহপাঠী ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই। তাদের খামখেয়ালির কারণেই মরতে হয়েছে অরিতীকে।
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা শাহনাজ নুর বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থী যদি নকল করে থাকে সেজন্য সে ক্ষমা চেয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীকে বহিষ্কার করতে পারতো। তা না করে তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা জড়িতদের বিচার চাই।
অভিভাবক সিদ্দিকী নাসির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, গত রাত তিনটা পর্যন্ত কমিটির সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত শিক্ষক জিন্নাত আরাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এ বিদ্যালয়টির সিনিয়র শাখা প্রধান ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা তিন দফা দাবি জানিয়েছি। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- ঘটনার তদন্ত ও বিচার, অধ্যক্ষের পদত্যাগ এবং স্কুলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
মাহমুদ রেজা নামে আরেক অভিভাবক বলেন, অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকদের অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই অভিভাবক লাঞ্ছনার শিকার হন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার কারণে আজ গণমাধ্যমকে জানাতে পারছি। না হলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারো নেই।
উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদা ইসলাম জোতি বলেন, আমরা শিক্ষকের কাছে কারণে-অকারণে বন্দি থাকি। একটার বেশি প্রশ্ন করা যায় না। করলেই উল্টো ঝারি খেতে হয়।
এদিকে অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এরইমধ্যে ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) পৃথক কমিটিগুলো গঠন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
ইএআর/এজেডএস/জেডএস