মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার দপদপিয়া পুরনো ফেরিঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পরিবার জানিয়েছেন। মৃত মিম বরিশাল মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল।
পুলিশ জানায়, রাতে দপদপিয়ার পুরনো ফেরিঘাট এলাকায় সুগন্ধা নদীতে এক তরুণীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীরা। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। মৃত মিমের বাবা শাহআলম মিজি বরিশালে চাকরি করেন।
স্বজনরা জানান, মিম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পাসের তালিকার তার রোল ছিলো না। এরপর থেকে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় সে বরিশাল চাঁদমারী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ থাকে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএস/এএটি