ফেনী অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম ভারতের বিলোনিয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে অভিযান চালিয়ে বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজী হয়ে এগুতে থাকলে পর্যদুস্ত হয়ে হানাদার বাহিনীর একটি অংশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় এবং অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) ফেনী মহকুমা কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দাগনভূইয়া, রাজাপুর, সিন্দুরপুর হয়ে শহরের দিকে এগুতে থাকে।
অবিস্মরণীয় দিনটি ফেনীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতি বছর পালন করে আসছে।
৭১’র বীর সেনানী লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম বলেন, আমরা ফেনীর চারিদিকে ডিফেন্স ও অবস্থান নিয়ে ৯ মাস মরণপণ যুদ্ধ করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান বলেন, অমর শহীদদের স্মৃতির ভাস্কর হিসেবে শহরের জেল রোডের পাশে বীর শহীদদের নামের তালিকা সম্মিলিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অস্পষ্ট হয়ে মুছে গেছে।
ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান বলেন, একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলছে এবং সহসাই এগুলো সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এসএইচডি/এমজেএফ