বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সদর উপজেলার পাওয়ার হাউজ এলাকায় বেসরকারি সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশনের (ইপসা) শেল্টার হোম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরে রবার্ট মিলার বলেন, কীভাবে নিরাপদে মর্যাদার সঙ্গে, স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা যায় যুক্তরাষ্ট্র সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা এবং মানবিক সহায়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সামনের দিনগুলোতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কীভাবে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী একত্রে কাজ করতে পারে তা নিয়েও তার দেশ চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানান রবার্ট মিলার।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মিশন ডিরেক্টর ডেরিক ব্রাউন, পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক ডিপার্টমেন্ট অফ ইউএস অ্যাম্বাসির চিফ বিল মোলার, ইউএসএআইডির পিআরএম জ্যাকুলিন পিলচ, প্রোগ্রাম অফিসার জ্যাসন গিলপিন, রুশদী, টিম লিডার হাবিবা আক্তার চিফ অফ পার্টি সবেড জনেভেন্ড, টিম লিডার এইচ এম নজরুল ইসলাম, ইপসার ডেপুটি ডিরেক্টর নাসিম বানু শ্যামলী, অ্যাসিস্টেন্ট ডেপুটি ডিরেক্টর মো. শহীদুল ইসলাম, প্রজেক্ট ম্যানেজার ইপসা-(বিসিটিআইপি প্রোগ্রাম) হোসনে আরা রেখা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে মার্কির রাস্ট্রদূত মিলার টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজার এলাকায় ইউএসএআইডির সহযোগিতায় পরিচালিত সূর্যের হাসি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। পরে টেকনাফে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ভেরিফিকিশন্স সাইট, কমিউনিটি ক্লিনিক ও টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া এবং শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার ৩ দিনের সফরে গত মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার পৌঁছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এসবি/আরআইএস/