বনবিভাগের মাধ্যমে কুমিরটি উদ্ধারে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
পাবনা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের গ্রাম চর কোমরপুর।
চর কোমরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদ বিশ্বাস বলেন, কয়েকদিন আগে পদ্মা নদীর চরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ কুমিরটিকে মাথা তুলতে দেখি। ভয়ে আতঙ্কে উঠে দৌড়ে এসে সবাইকে খবর দেই। এরপর অনেকেই কুমিরটিকে দেখতে ছুটে আসেন। এখানে ভয়ে চরে কেউ গরু, ছাগল চরাতে পারছে না, জমিতে আবাদ করাও বন্ধ রেখেছে অনেকে। নদীতে আমরা কাজ শেষ করে গোসল করতাম, এখন ভয়ে নদীতে নামছে না কেউ।
কুমিরের ভয়ে নদীর তীরে কৃষিকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসী। একাধিকবার অতি উৎসাহীরা নিয়েছেন কুমিরটিকে হত্যার উদ্যোগ।
স্থানীয় জেলেরা জানান, কখনো নদী পাড়ে উঠে বিশ্রাম নিচ্ছে কুমিরটি। এ কারণে চরের জমিতে আবাদে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। গত সপ্তাহে নৌকা নিয়ে আবু তালেব নামে একজন জেলে মাছ ধরতে গেলে কুমিরের হামলার শিকার হন। হাতের বৈঠা দিয়ে কুমিরটিকে সরিয়ে কোনো মতে প্রাণ নিয়ে ফেরেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, কুমিরটি খুবই ক্ষুধার্ত, তাই প্রচন্ড হিংস্র হয়ে আছে। দ্রুত তাকে না সরালে, যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন বা স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে কুমিরটিকে হত্যাও করতে পারেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে আমি খবরটি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কুমির উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দফতরে খবর দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত কুমিরটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কুমিরটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) পরিদর্শনে আসা বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির বাংলানিউজকে জানান, পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালটি পর্যাপ্ত পরিমাণ গভীর থাকায় বর্তমানে কুমিরটি নিরাপদে আছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির মাধ্যমে বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের টিমের সঙ্গে কথা বলছি। কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
আরআইএস/