এরা হলেন-পশ্চিম যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জের জাবেদ হোসেন (৪০) ও নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২১)। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় থাকতেন।
জাবেদের প্রতিবেশী মো. নাসির জানান, সকাল ৯টার দিকে দয়াগঞ্জ মোড় এলাকায় রেলক্রসিং পার হচ্ছিলেন জাবেদ। এসময় একটি ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাবেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাবেদের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বলেন, পশ্চিম যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জের ২৯/৪/এ নম্বর বাড়িতে থাকেন তারা। বাদামতলীতে একটি ফলের দোকানে কাজ করতেন জাবেদ। সকাল ৬টার দিকে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের তিনি। পরে তার দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, গুলশানের একটি বহুতল ভবনে গ্রিল বেয়ে চুরি করতে গিয়ে ভবন থেকে পড়ে রাসেল মিয়া (২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ রাতে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, রাসেল একজন পেশাদার চোর এবং মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আনোয়ার নামে একজনকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ভোর ৪টার দিকে গুলশান ১২৭ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়ির চারতলায় গ্রিল বেয়ে চুরি করতে যান। এসময় ওই বাসার নিরাপত্তাকর্মী চোর বলে চিৎকার দিলে পালানোর সময় বাসার তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহন হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপর আনোয়ার পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এজেডএস/আরবি/