এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে শার্শার ইসলামপুর নামক গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত জাহিদুল বেনাপোল পৌরসভার নারানপুর গ্রামের জব্বারের ছেলে।
আটক ছয়জন হলেন- ঝড়ু মিয়া (৪৬), স্ত্রী বিউটি খাতুন (৩৭), মেয়ে সুমি খাতুন (২৫), মুক্তার আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫), খালিদের স্ত্রী ফেরদৌসি (৩৭) ও ছেলে আল আমিন (১৮)।
নিহতের চাচা আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে জানান, তার ভাতিজা জাহিদুলকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে শার্শার ইসলামপুর গ্রামের সুমি নামে এক নারী টাকা নেয়। পরে সুমি বিদেশে না পাঠিয়ে বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করেন। গতকাল বুধবার রাতে সুমির বাড়িতে পাওনা টাকা আনতে জাহিদুল তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যায়। পরে বন্ধুকে বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসিয়ে জাহিদুল সুমির বাড়িতে ঢোকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও ওই বাড়ি থেকে জাহিদুল বের না হওয়ায় তাকে ফোন করা হয়। এসময় তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে সন্দেহ হয়। পরে লোকজন সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে এক পর্যায়ে বাড়ির পাশ থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পেশাদার খুনিদের এনে হত্যা করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮/আপডেট: ১৬১০
এজেডএইচ/এএটি