বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার।
লিখিত বক্তব্য খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট। মূলত তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমাদের জানা মতে, তিনি রাষ্ট্র বা সমাজবিরোধী কোনো কাজের সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিলেন না।
তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে আমাদের বাসার ক্যাবল অপারেটর আমার স্বামীকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। পরে আমার স্বামীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসময় আমার স্বামীকে বাসার নিচে রেখে তারা ফ্ল্যাটে ঢুকে ডিবি পরিচয় দিয়ে বাসা থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ অনলাইন সংক্রান্ত অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে যান।
খাদিজা আক্তার বলেন, আমরা আমাদের পাশের থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। ডায়েরি নম্বর হলো- ১৮০০। তারপর আমরা সদর দক্ষিণ মডেল থানা, কুমিল্লায় যোগাযোগ করতে থাকি। আমাদের মৌখিকভাবে বলা হয়েছিলো ডিসেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যে একটা খবর পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ৫ ডিসেম্বর আমরা ডিবি অফিস ও র্যাব অফিসে গিয়ে খবর নিয়েছি। এসময় তারা জানিয়েছে, এরকম কোনো লোককে আনা হয়নি। এমতাবস্থায় আপনাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, দয়া করে আমার স্বামীকে ফিরে পেতে আপনারা সাহায্য করুন।
এসময় তিনি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনসহ সব অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাদের পুরো পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলেন। তিনি যদি আমাদের অজান্তে কোনো ধরনের অপরাধ করেও থাকেন তাহলে আইন মোতাবেক আদালতে হাজির করে বিচার করা হোক। এসময় তিনি তার স্বামীকে ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাব, পুলিশসহ সবার কাছে আকুল আবেদন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রবিউলের বাবা শফিকুল ইসলাম, মা মরিয়ম বেগম, বোন জামাই মাসুম এবং শ্যালক ইমদাদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
আরবি/