আত্মসমর্পণের পর বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশ তাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) মহালছড়ি সেনা জোন তিনি একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ আত্মসমর্পণ করেন।
আনন্দ চাকমা বলেন, পরিবারের সুখ-শান্তির কথা বিবেচনা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নেই। আরও অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উদগ্রীব। কিন্তু ইউপিডিএফের ভয়ে তারা আত্মসমর্পণে সাহস করছেন না।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ রাঙ্গামাটি কলেজের শিক্ষার্থী মিতালী চাকমাকে নির্যাতনের বিষয়টি আমাকে ভীষণ ভাবায়। তাই, স্ত্রী-সন্তানের কথা-চিন্তা করে স্বাভাবিক জীবনের ফেরার সিদ্ধান্ত নেই।
আনন্দ চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মনোরঞ্জন চাকমার ছেলে। প্রায় ৩৬ বছর ধরে গেরিলা জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। চার বছর ধরে তিনি ইউপিডিএফের সঙ্গে জড়িত। তারও আগে জনসংহতি সমিতি ও শান্তিবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে ঘটনাটিকে সাজানো নাটক বলে দাবি করছে ইউপিডিএফ। সংগঠনের খাগড়াছড়ির সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, ইউপিডিএফকে রাজনৈতিকভাবে চাপে রাখার জন্য এটি একটি কৌশল। আর আনন্দ চাকমা নামে নিজেদের কোনো কর্মী নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এডি/ওএইচ/